বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসে বিচারকদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। অভিযোগ করেন, একটি দেশের প্রেসিডেন্ট যদি অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেন, সেখানে বিচারপতি কোন ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপ্রধানের ঐ সিদ্ধান্তকে আটকে দেন- সেটা বোধগম্য হচ্ছে না তার।
এই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলো ট্রাম্প প্রশাসন। অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে নির্বাসনে পাঠাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন বোস্টনের ডিসট্রিক্ট আদালত।
যদিও এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাদী পক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই অবৈধ অভিবাসীদের তৃতীয় কোনো দেশে নির্বাসনে পাঠালে, সেখানে শরণার্থী হয়ে থাকতে হবে তাদের। আইনের জটিল মারপ্যাঁচে পড়লে ঐ দেশ থেকে বেরই হতে পারবেন না এই শরণার্থীরা। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে জানিয়েছেন বোস্টনের বিচারক।
এদিকে, ডিসট্রিক্ট কোর্টের এই রায়ের ঠিক একদিন পর শনিবার, মার্কিন ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের হেফাজতে থাকা ভেনেজুয়েলার পুরুষ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের ওপর সামরিক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ফলে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আটককৃত ভেনিজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপসারণ করতে পারবে না ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আইনজীবী দাবি করেন, বাধ্যতামূলক বিচারিক পর্যালোচনা ছাড়াই তাদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস।