বছরের শুরুতে ডুবতে বসা লিবারেল পার্টিকে রীতিমতো একাই টেনে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করালেন মার্ক কার্নি। তার নেতৃত্বের ওপরই ভরসা করে জন-রায় দিলেন কানাডিয়ানরা। কনজারভেটিভ পার্টির থেকে বেশ কিছু আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে লিবারেল পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যে ১৭২ আসন প্রয়োজন, তা থেকে কিছুটা দূরেই রয়ে গেলো তারা। এতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আপস করতে হবে মার্ক কার্নিকে।
কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সায়েন্সের প্রফেসর লরা স্টিফেনসন বলেন, ‘জাস্টিন ট্রুডোর মতোই আসলে তিনি। পার্থক্য হলো, তিনি মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন একটু বেশিই। অনেক আশা দিয়েছেন, শক্তিশালী হওয়ার কথা বলেছেন।’
আরো পড়ুন:
মার্ক কার্নির সরকারকে মাইনোরিটি গভর্নমেন্ট হিসেবে তুলে ধরছে গণমাধ্যমগুলো। কনজারভেটিভ পার্টি সরকার গঠন করতে না পারলেও, তারা শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকার চালানো বেশ কঠিনই হবে, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্নির প্রধান কাজ হবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুর সুরাহা করা। মে মাসেই দুই দেশের নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আগেই জানিয়েছে অটোয়া।
যদিও শুল্ক ইস্যুতে ছাড় দিতে নারাজ ট্রাম্প। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোটের দিনও তিনি বলেছেন, ৫১তম অঙ্গরাজ্য হলেই কেবল শুল্ক প্রত্যাহার সম্ভব। এখন দেখার পালা, কীভাবে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ কার্নি।