ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার ইঙ্গিত ট্রাম্পের, আলোচনায় পুতিন

ভলোদিমির জেলেনস্কি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন
বিদেশে এখন
0

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে মস্কো ও কিয়েভ। পুতিনের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ফোনালাপ শেষে একথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সোমবার (১৯ মে) পুতিনের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ আলোচনা শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে মস্কো ও কিয়েভ। ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন, দুইপক্ষের আলোচনায় আয়োজকের ভূমিকা পালন করতে পারে ভ্যাটিকান সিটি।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তিতে কাজ করতে সম্মতির কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দাবি, ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-পাকিস্তানের পর ট্রাম্পের লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি। তাই পশ্চিমের শক্তিশালী এই নেতার সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন পূর্বে।

যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে কার্যকর পন্থা তৈরি করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, লক্ষ্য পূরণে যুদ্ধ শুরুর প্রধান কারণ মূলোৎপাটন করতে হবে। ইউক্রেন ইস্যুতে সরাসরি মধ্যস্থতার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এসময় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সমঝোতা চুক্তিতে কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে কার্যকর পন্থা তৈরি করতে হবে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যুদ্ধ শুরুর কারণ মূলোৎপাটন করতে হবে।’

এদিকে দুই নেতার ফোনালাপের কিছুক্ষণ আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দাবি করেন, অস্ত্রবিরতির আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, এই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের নয়। তাই ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘রাশিয়া যদি যুদ্ধ শেষ করতে না চান, তাহলে বলতে হবে এটি আমাদের যুদ্ধ নয়। এটি জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ। আমরা তারপরেও যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছি। তবে যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে বলবো ভালো উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু এমনটা আর করা হবে না।’

১ মাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিলেও এখনো তা কার্যকর করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের দাবি, এখনো নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রয়েছে।

সেজু