দু-একদিনের মধ্যে গাজায় সাময়িক অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আশ্বাস ট্রাম্পের

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা শহর
বিদেশে এখন
0

দু-একদিনের মধ্যে গাজায় সাময়িক অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আশ্বাস দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব না মানলে হামাসকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এদিকে, ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে আরো ২ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। জাতিসংঘ বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান গাজা উপত্যকা। অন্যদিকে, ইসরাইলি বিমানবন্দরে হামলার দাবি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের।

দু-একদিনের মধ্যে গাজায় সাময়িক অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আশ্বাস দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব না মানলে হামাসকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এদিকে, ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে আরো ২ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। জাতিসংঘ বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান গাজা উপত্যকা। অন্যদিকে, ইসরাইলি বিমানবন্দরে হামলার দাবি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ত্রাণ পাচ্ছেন পাচ্ছেন না গাজার ২৩ লাখের বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ। ১১ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর উপত্যকায় ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও তা আটকে দিচ্ছেন ইসরাইলি সমর্থকরা। শুক্রবার (৩০ মে) কারিম স্যালোম সীমান্তে ত্রাণবাহী ট্রাকের রাস্তা আগলে দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ। গায়ের জোরে দাবি করছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়া হবে না।

শুধু তাই নয়, ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। আজ (শনিবার, ৩১ মে) রাফাহ সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ নেয়ার সময় ইসরাইলি সেনার গুলিতে প্রাণ গেছে আরো ২ ফিলিস্তিনির। আলাদা অভিযানে খান ইউনিসেও হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

শুরু থেকেই চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত এই ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল জাতিসংঘ। ক্ষুধার সঙ্গে লড়তে থাকা ২৩ লাখ মানুষের যন্ত্রণা প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান গাজা উপত্যকা। বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকটের ভয়াবহতা অতীতের সব পরিসংখ্যান ছাড়িয়েছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস থেকে সহকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। উত্তর গাজায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক হামলার পর আরো একটি কার্যকর হাসপাতাল, আল-আওদা খালি করতে বাধ্য করা হয়েছে।’

এদিকে গাজায় অস্ত্রবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ প্রস্তাব নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। হামাস প্রস্তাবটি আবারও পর্যালোচনা করছে এমনটা জানানো হলেও ধৈর্য রাখতে পারছে না ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ মন্তব্য করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত না মানলে হামাসকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। যদিও সংশয় উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে উপত্যকায় অস্থায়ী অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আজ অথবা আগামীকালের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। আপনাদের সময়মত জানানো হবে। সম্ভাবনা আছে এটা মাথায় রাখুন। ইরানের সঙ্গেও একটি সমঝোতা হতে পারে।’

এদিকে, হুতি নিয়ন্ত্রিত সানা আন্তর্জাতিক হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বন্দর লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা। সংগঠনের মুখপাত্রের দাবি, হামলায় বেনগুরিয়নের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। যদিও হুতিদের এই দাবি অস্বীকার করে হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে আইডিএফ। এছাড়া প্রতি সপ্তাহের মত গেল শুক্রবারও ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানায়। এতে অংশ নেন অন্তত লাখ খানেক ফিলিস্তিনপন্থী সমর্থক।

সেজু