ইরানে মার্কিন হামলার শঙ্কায় বিশ্ববাজারে তেলের অস্থিরতা; অর্থনীতিতে পড়তে পারে ধাক্কা

ইরানে মার্কিন হামলা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
বিদেশে এখন
0

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় আরও একবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা। হরমুজ প্রণালী বন্ধে বিকল্প পথ কি হতে পারে তা নিয়েও ভাবছেন অনেকে। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় টালমাটাল হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও ভেস্তে যেতে পারে।

ইসরাইলি অভিযানের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রও ইরানি ভূখণ্ডে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা। আর এজন্য ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন বলেও তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

চলমান এই সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিতেও কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় শেয়ারবাজারেও প্রভাব পড়বে বলেও মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্ববাজার এখন অনিশ্চয়তায় সয়লাব হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। যেখানে প্রধান বিষয় তেলের দাম বাড়া ও মুদ্রাস্ফীতির শঙ্কা।

১০ জুন থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে ৭৯ ডলার ছাড়িয়েছে। যা গেল প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ১৩ জুন ইরানের উপর ইসরাইলি আক্রমণের পর পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। শনিবার মার্কিন হামলার আগে, অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের বিশ্লেষকরা বেশ কয়েকটি শঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়। যার কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দামের উপর ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এ অবস্থায় মুদ্রাস্ফীতির শঙ্কার মধ্যেই, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ভেস্তে যেতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে। সব মিলিয়ে তেলের দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যেই, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত একটি শান্তি চুক্তির পথে ইরান অগ্রসর হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।

যদিও, অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লে, তা এরইমধ্যে চাপে থাকা বিশ্ব অর্থনীতিকে চরম হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ইতিহাস বলছে, ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ এবং ২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার মতো অতীত ঘটনাগুলোর কারণে প্রাথমিকভাবে মজুদ কমে গিয়েছিল। যদিও, সেসময় দ্রুতই স্বাভাবিক হয়েছিল তেলের বাজার।

ইএ