যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান ভারতের কলকাতাবাসীর কণ্ঠে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবার এক হয়েছেন তারা। এসময় ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা পোড়াতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। ভারত সরকার যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ঘেঁষা, তখন দেশটির নাগরিকরাই ট্রাম্প বিরোধী অবস্থান খোদ দেশটির নাগরিকদের।
ভারতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ। আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।’
পাকিস্তান
পাকিস্তানেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এসময় ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য সুপারিশ করায় পাক সরকারের বিরুদ্ধেও আঙুল তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পাকিস্তান সরকারকে বলতে চাই, সুন্নি ও শিয়া মুসলিম এক হও। ইরানের পাশে আমরা রয়েছি। ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য সুপারিশের বিষয়টি সমালোচনার।’
যুক্তরাষ্ট্র
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন খোদ মার্কিন নাগরিকরা। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বেশ কয়েকটি শহরে জড়ো হন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। এসময় যত দ্রুত সম্ভব ইরানে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে সংঘাতকে আমি আরেকটি যুদ্ধ বলবো। ইরাকের মতো ইরানের সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে নিহত হতে পারে কয়েক লাখ মানুষ।’
অন্য একজন বলেন, ‘এরইমধ্যে ইসরাইল ইরানের বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। দিন দিন সংঘাত আরও বাড়ছে। তাই বোমাবাজি বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’
কানাডা
ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে কানাডার অন্টারিও ও টরন্টোতে। টরন্টোর মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হতে দেখা যায় শত শত বিক্ষোভকারীকে। তাদের অভিযোগ, ইরাকের মতো ইরানেও যুদ্ধের প্লাটফর্ম সাজাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।
কানায়ডায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইসরাইলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাইছে। ইরাকে যেমনটি ঘটেছিল। যাতে গাজায় গণহত্যা চালাতে পারে ইসরাইল।’
ফ্রান্স
বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিসেও। শহরটিতে ইরানে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানান আন্দোলনকারীরা।
একজন বলেন, ‘আমার শাশুড়ি ইরানে থাকেন। ইন্টারনেট না থাকায় তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। তার বয়স ৮৩ বছর। বার্ধক্যের কারণে সে নড়াচড়াও করতে পারে না।’
এ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া ও গ্রিসেও হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।