রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তা ৩৬ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউক্রেনের পতাকা
বিদেশে এখন
0

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে ৩৬ হাজার কোটি ডলারের সামরিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশ। এরমধ্যে কিয়েভকে একাই ১৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সামরিক সরঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। আর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ২৯ সদস্যরাষ্ট্র ছাড়াও ১২টি দেশের সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন।

পুতিন-জেলেনস্কির সঙ্গে হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এক টেবিলে বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেশটিতে মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছেন তিনি। তবে আশ্বাস দিয়েছেন নিরাপত্তার প্রশ্নে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেবে ওয়াশিংটন।

প্রতিক্রিয়ায় কিয়েভ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে ইউক্রেন। যদিও এর অর্থ পরিশোধ করবে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদেশ।

জার্মান থিংট্যাঙ্ক কেইল ইন্সটিটিউটের তথ্য বলছে, সংঘাত শুরুর পর ন্যাটোর সদস্য দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৬ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক, সামরিক ও মানবিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। এ তালিকায় আছে ন্যাটোর ২৯ সদস্য রাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:

এছাড়া কিয়েভকে সহায়তা দিয়েছে পশ্চিমা এই জোটের বাইরে থাকা ১২টি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালটা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, চীন, তাইওয়ান ও ভারত। সহায়তা এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও।

এই ৩৬ হাজার কোটি ডলারের মধ্যে সামরিক সহায়তা বাবদ এসেছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডলার, ১৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার এসেছে আর্থিক সহায়তা হিসেবে, আর মানবিক সহায়তা বাবদ ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার পেয়েছে ইউক্রেন।

২০২২ এর ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ এর ৩০ জুন পর্যন্ত ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর এই তালিকায় আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও জাপান।

দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের মিত্রদেশগুলো থেকে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই দিয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। যদিও কিয়েভকে ৩০ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইউরোপের মিত্ররা। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির অঙ্ক ছিল ১৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের। যদিও ট্রাম্পের দাবি ওয়াশিংটন একাই ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে কিয়েভকে। বিশেষ করে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওভাল অফিসে প্রথম সাক্ষাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পর ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়ার লাগাম টেনে ধরেন ট্রাম্প।

মিত্রদেশ থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রও পেয়েছে ইউক্রেন। যুদ্ধযান, আর্টিলারি, বিমান, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ড্রোন, মিসাইল এসেছে নানা দেশ থেকে। এরমধ্যে প্রতিবেশি দেশ পোল্যান্ড থেকে সর্বোচ্চ ৩৫৪টি ট্যাংক পেয়েছে কিয়েভ। আর ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ৩০৫টি আধুনিক যুদ্ধযান, ২০১টি হাওইটজার আর্টিলারি, ১৮টি এয়ার ডিফেন্স, আর ৪১টি হিমার্স রকেট লঞ্চার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সেজু