বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় যে কয়েকটি দেশ পছন্দের শীর্ষে তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। সারা বিশ্ব থেকেই এ দেশে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেই সুযোগ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। এমনকি ভিজিটর বা পর্যটক ভিসা কিংবা কাজের ভিসাও হয়ে গেছে সীমাবদ্ধ।
আদতে গেলো বছর থেকেই বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা দেয়া কমাতে শুরু করে কানাডা। সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এসে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে এ হার। অটোয়ার নীতির কারণে ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ভিসা।
আইআরবি রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, ভারত, বাংলাদেশ আর নাইজেরিয়া। বাংলাদেশ সেখানে রেডলিস্ট তালিকায় আছেই। দেখার বিষয় হলো সম্প্রতি যতগুলো নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে সেখানে সংশোধন করা হয় অনেক কিছুই। এমনভাবে রুলগুলো সংশোধন করা হচ্ছে, যারা যোগ্য নয় তারা অটোমেটিক সরে পড়বেন।’
আরও পড়ুন:
এ অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভিসা প্রত্যাখ্যান হচ্ছে অহরহ। পড়তে আসার সুযোগ হারাচ্ছে হাজার হাজার মেধাবী তরুণ। সেপ্টেম্বর ইনটেককে বলা হয় সব থেকে বড় মৌসুম। এ সময়েও খুব কমই মিলেছে ভিসা।
কানাডা বিষয়ক শিক্ষা পরামর্শক মাসুমুল কবির বলেন, ‘যাদের গন্তব্য কানাডা হবে, তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তাদের অনেক সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে, এ সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসার জটিলতায় আছে ভারতও। তবে তারা এরইমধ্যে কানাডা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশকেও তৎপর হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গেলো বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে পর্যটক ভিসা দেয় কানাডা; যা ২০২৩ সালের প্রায় ১৮ লাখের তুলনায় কম। মূলত আশ্রয়প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন কিছু দেশের ক্ষেত্রে এ পতন অত্যন্ত তীব্র। বাংলাদেশিরা এসে আশ্রয়প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন বিগত কয়েক বছরে অনেক বেশি। যার অধিকাংশই ভুয়া। তাছাড়া ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদন, সঠিকভাবে আবেদন না করতে পারার ব্যর্থতাও কমিয়েছে ভিসার হার। সব মিলিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।