আমেরিকার পতাকা পোড়ালে এক বছরের জেল; ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

আমেরিকার পতাকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

আমেরিকান পতাকা পোড়ানো বা যেকোনোভাবে অবমাননার ঘটনায় কড়াকড়ি আরোপ করে একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৫ আগস্ট) হোয়াইট হাউস থেকে এ আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, কেউ আমেরিকান পতাকা পোড়ালে তার এক বছরের কারাদণ্ড হবে এবং কোনো আগাম জামিন বা মুক্তির সুযোগ থাকবে না।

ওভাল অফিসে আদেশে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কেউ পতাকা পোড়ায়, তাহলে তার এক বছরের জেল হবে, কোনো ছাড় নেই, আগাম মুক্তি নেই।’

নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, আমেরিকান পতাকা শুধু একটি কাপড় নয়, এটি মার্কিন স্বাধীনতা, জাতীয় পরিচিতি ও ঐক্যের প্রতীক। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে লাখো দেশপ্রেমিক মার্কিন নাগরিক এ পতাকার মর্যাদা রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। 

ট্রাম্প বলেন, ‘পতাকা পোড়ানো একটি উসকানিমূলক ও অবমাননাকর কাজ, যা দেশের প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতার প্রকাশ। এ প্রতীককে ধ্বংস করার কাজ কখনো কখনো সহিংসতা ও দাঙ্গার উসকানি দেয়, এমনকি বিদেশি গোষ্ঠীগুলোও মার্কিন নাগরিকদের ভয় দেখাতে এ কাজ ব্যবহার করে।’

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৯ সালের এক রায়ে জানিয়েছিল, পতাকা পোড়ানো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত।

আরও পড়ুন:

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যদি পতাকা পোড়ানো তাৎক্ষণিক সহিংসতা উসকে দেয় বা ‘ফাইটিং ওয়ার্ডস’ এর পর্যায়ে পড়ে, তাহলে তা সংবিধানিক সুরক্ষা পায় না।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি নাগরিক আমেরিকান পতাকা অবমাননার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর অভিবাসন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর মধ্যে— ভিসা বাতিল, গ্রিন কার্ড প্রত্যাখ্যান, নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া স্থগিত এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত।

এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, এ আদেশ জাতীয় ঐক্য, মর্যাদা ও আইনের শাসন রক্ষায় প্রয়োজনীয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘পতাকা পোড়ানো যদি সহিংস অপরাধ বা ঘৃণামূলক অপরাধের অংশ হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল ও স্থানীয় আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এসএইচ