গাজায় আবারও ইসরাইলি হামলা। এবার উপত্যকাটির স্বঘোষিত মানবিক অঞ্চল আল মাওয়াসিতেও হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। স্থানীয় সময় আজ (শুক্রবার, ২৯ আগস্ট) ভোরে আকস্মিক এ হামলা চালানো হয়। এতে মানবিক অঞ্চলটিতে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
এছাড়াও গোটা উপত্যকাজুড়ে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অধর্শতাধিক ফিলিস্তিনি। নতুন সামরিক অভিযানকে সম্পূর্ণ সর্মথন জানিয়ে ইসরাইলের ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ জানান, হামাস অস্ত্র ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানালে ইসরাইলকে গাজা উপত্যকা দখল করতেই হবে।
তবে ইসরাইলি বাহিনীর সম্প্রসারিত সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নতুন এ অভিযান গাজা সিটিতে ধ্বংস বয়ে আনবে বলেও সর্তক করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘গাজা সিটিতে সম্প্রসারিত সামরিক অভিযান ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। এরই মধ্যে ক্লান্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত লাখো মানুষকে আবারও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে পরিবারগুলো আরও গভীর বিপদের মধ্যে পড়েছে।’
আরও পড়ুন:
গাজা যুদ্ধকে স্পষ্টভাবে ‘প্রচলিত গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকার করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে চিঠি পাঠিয়েছেন সংস্থাটির প্রায় পাঁচশ কর্মকর্তা। গণহত্যার নিন্দা না জানানোয় জাতিসংঘ ও মানবাধিকার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে চলমান সংঘাতের মধ্যে গাজায় খাদ্য সহায়তা কিছুটা বাড়লেও তা এখনও ব্যাপক দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন চলতি সপ্তাহে দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনুস অঞ্চল সফর করার পর, অঞ্চলগুলোতে নারী ও শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে জানান তিনি।
সিন্ডি ম্যাককেইন বলেন, ‘আমি মারাত্মকভাবে অপুষ্ট শিশু ও নারীদের দেখেছি। বর্তমানে কিছুটা বেশি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে পারছি। আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি, কিন্তু মানুষের ক্ষুধা বা অপুষ্টি দূর করতে এটি যথেষ্ট নয়।’
গাজায় গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে দক্ষিণ লেবাননের রাস আন-নাকোরা এলাকায় দুই সেনা নিহতের খবর পাওয়া গেছে।