ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এবার ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনায় বসতে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের জন্য প্রস্তুত থাকলে জেলেনস্কিকে মস্কোতে আসার আহ্বানও জানান তিনি। আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেও, বৈঠকের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
চীন সফর শেষে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘তিনি সবসময়ই জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ছিলেন। এ ধরণের বৈঠকের আগে যথাযথ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান তিনি।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনা সম্ভব, যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আলোচনায় বসতে চান তাকে মস্কোতে আসতে হবে।’
ক্রেমলিন বলছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতির লক্ষ্যে ইউক্রেনের সামরিক আইন বাতিল, নির্বাচন আয়োজন এবং বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মালিকানা নির্ধারণের বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
এর আগে, ইউক্রেন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে ভ্লাদিমির পুতিনকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়সীমাও প্রায় শেষের পথে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য জন্য কোন বার্তা নেই। আমি তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমি আবারও তার সাথে কথা বলবো।’
রুশ প্রেসিডেন্ট শান্তি আলোচনায় বসার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও, ইউক্রেনে থেমে হামলা। সবশেষ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোস্তিয়ান-তিনিভ-কাতে হামলা চালিয়েছে মস্কো। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের।
এদিকে, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দিতে প্রস্তত ইউরোপীয়রা। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলেও দাবি তার।
ইউরোপীয় দেশগুলো যখন ইউক্রেনের পাশে তখন, রাশিয়াকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন। চীনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেইজিং সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
ইউক্রেনকে নতুন করে আরও সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যও। কিয়েভ সফর করে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা জন হিলি জানান, রুশ বাহিনীকে পরাস্ত করতে এবং পুতিনের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ দিতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য।