দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘বিজয় উৎসবে’ তৃতীয় চার্লসের চা চক্র

ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তির উৎসব পালন করছে ইউরোপ। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের সামনে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ। বিশ্বযুদ্ধে জীবিত সেনাদের সঙ্গে চা চক্রে অংশ নেন রাজা তৃতীয় চার্লসসহ রাজপরিবারের সব সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এদিকে নেদারল্যান্ডসে আয়োজনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্মোক বোমা নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা।

বাকিংহাম প্যালেসের ওপর আকাশ ভেদ করে উড়ে যাচ্ছে বিমান। লাল, নীল ও সাদা রং ছড়িয়ে ফ্লাইপাস্টে ব্যস্ত রয়েল এয়ার ফোর্স। ওদিকে টেমস নদীর ওপর গান স্যালুট দিচ্ছে এইচএমএস বেলফাস্ট। উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা যুক্তরাজ্যে। কারণ অক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি পালন করছে মিত্র শক্তি।

বিশেষ এই দিনটি মহাদেশটিতে পালন করা হয় ভি.ই ডে বা ভিক্টরি ইন ইউরোপ দিবস হিসেবে। যা দেখতে বাকিংহামে বেলকনিতে ছিলেন রাজপরিবারের চার প্রজন্ম। সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ রাজা তৃতীয় চালর্সের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য প্রিন্স লুইস।

১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম চার্চিলের বিজয় বক্তৃতা অনুকরণ করে পাঠ করেন অভিনেতা টিমোথি স্প্যাল। এর কিছুক্ষণের বাদেই শুরু হয় সামরিক কুচকাওয়াজ। লাখো দর্শক ও রাজপরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জীবিত সেনারা।

তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল, বর্তমান প্রজন্মের মনে রাখার মতো দিন এটি।’

অন্য একজন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এখানে ফ্লাই পাস্ট দেখতে এসেছি। অপূর্ব দৃশ্য। দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

কুচকাওয়াজ শেষে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজন করা হয় চা চক্র। যেখানে রাজপরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেনাদের সঙ্গে মেতে উঠেন খোশগল্পে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আয়োজন করা হয় স্ট্রিট পার্টি। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে ওয়ার ভেটেরানদের নিজ হাতে চা পরিবেশন করেন কিয়ার স্টারমার। যুক্তরাজ্যজুড়ে এই উৎসব চলবে ৮ মে পর্যন্ত।

বাকিমহামের মতো ক্রেমলিন রঙিন হয়েছে রাশিয়ার পতাকার রঙে। যদিও ৯ মে অনুষ্ঠেয় বিজয় দিবসের মহড়া ছিল এটি। অন্যদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তৃতীয় বছরের মতো বড় আকারের কুচকাওয়াজ বাতিল হয়েছে ক্রিমিয়ায়। যদিও সেভাস্তপোলে জীবিত শেষ দুই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেনার জন্য পার্সোনাল প্যারেড আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে যুক্তরাজ্যের মতো নেদারল্যান্ডসেও আয়োজন করা হয় বিজয় উৎসব। যদিও গাজায় দেড় বছরব্যাপী যুদ্ধের প্রতিবাদে এসময় বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৩০০ মানুষ। ডাচ ও পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর সামনেই স্মোক বোমা ছোড়েন এক বিক্ষোভকারী। অনেকে বক্তব্যে বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

এসএস