ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর এবার বাল্টিক সাগরে ২০ যুদ্ধজাহাজ, তিন শতাধিক সেনা ও বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ গণমাধ্যমের দাবি, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের পাল্লা ভারী হওয়ায় এমন যুদ্ধের তোড়জোর দেখাচ্ছে মস্কো।
শুধু তাই নয়, রোববার (২৫ মে) রাতের হামলার পর পূর্ব ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি করছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ। যদিও দোনেস্কের ঐ গ্রাম দখলের পর যে ফুটেজটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে তার সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি।
এদিকে রোববারের ঐ হামলায় রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন না করে আগুন নিয়ে খেলায় মেতেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও দাবি করেছেন, এখনও রাশিয়া অক্ষত আছে তার কারণ চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ট্রাম্পের এই ক্ষোভকে আবেগ বলে চালিয়ে দিচ্ছে ক্রেমলিন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, ইউরোপের স্বার্থপর নেতারা চলমান যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটনের উদ্যোগ ভেস্তে দিতে চায়। আর এই ইউরোপের আশকারা পেয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে বলে দাবি করেন সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি মনে করেন, এসব কারণে কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর চটেছেন ট্রাম্প। যা আসলে তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এদিকে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের অভিযোগের তীর পশ্চিমা গণমাধ্যমের দিকে। রুশ গণমাধ্যম আরটিকে তিনি জানিয়েছেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখছে সংবাদমাধ্যমগুলো। এছাড়া, রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলার জবাবে জার্মানির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পেসকভ। বলেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যে বিধিনিষেধ ছিল তা অমান্য করলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে।