গেলো সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের পর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। অবিলম্বে ইউক্রেনের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়ার কথাও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।
যদিও বাস্তব পরিস্থিতি পুরোটাই উল্টো। কিয়েভে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। সরবরাহ করা হয়নি প্রতিশ্রুত মেমোরান্ডাম অফ পিস। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যমটির দাবি, ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সামনে উত্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ মার্কিন শুল্কারোপ। এতে মস্কো ও বেইজিংয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওয়াশিংটনের শত্রু দেশগুলোর অর্থনীতি। যদিও এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না করার পেছনে প্রধান কারণ, মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত শান্তি আলোচনা থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে রাশিয়াকে।
উল্টোদিকে হামলার মধ্যেও কূটনীতির পথ পুরোপুরি বাতিল করেনি মস্কো। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দাবি, এখনো খসড়া চুক্তি নিয়ে কাজ করছে রাশিয়া। যা সম্পন্ন হবার পরই পাঠানো হবে ইউক্রেনের কাছে। তবে নথিটি সম্পূর্ণ হতে কতদিন সময় প্রয়োজন, তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির লক্ষ্যে আমরা একটি খসড়া নথি প্রস্তুত করছি। যেখানে সীমান্ত নির্ধারণের প্রক্রিয়া ও যুদ্ধবিরতির মেয়াদের মতো বিভিন্ন বিষয় যুক্ত থাকবে। আমরা চাইছি কিয়েভকে সরবরাহের পর তারাও যেন একই পন্থা অবলম্বন করে।’
সিএনএন এর বিশ্লেষণ বলছে, পুতিনের ধারণা, যতকিছুই হোক না কেনো মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না ট্রাম্প। তাই সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলগুলো দখলের চেষ্টায় মরিয়া রাশিয়া।