তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কোনো আভাস তো নেই, বরং আরও বেশি তীব্র হচ্ছে লড়াই। সম্প্রতি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন থেকে রুশবিরোধী পদক্ষেপ এবং ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোরালোর বার্তায় ক্ষিপ্ত মস্কো। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে যেন শক্তির জানান দিচ্ছে রাশিয়া।
এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর এক খবর প্রকাশ করেছ সিএনএন। ইউক্রেনের গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রাশিয়ার হয়ে ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধে আবারও সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এবার মস্কোতে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার সেনা পাঠাতে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। এতে রাশিয়ায় প্রায় তিনগুণ বাড়বে উত্তর কোরীয় সেনা।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে উত্তর কোরীয়ার প্রায় ১১ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। যারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছিলেন। পরে ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, এদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার সেনা হতাহতের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যেও আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হচ্ছে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ও উত্তর কোরিয়ার একটি কার্গো বিমান প্রস্তত করে রাখা হয়েছে। যদিও ছবিতে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না যে, বিমান ও জাহাজগুলো ঠিক কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে গতিবিধি দেখে গত বছরের সৈন্য সরবরাহের মতোই মিল দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে গেল ১৭ জুন পিয়ংইয়ং সফরে গিয়ে পুতিনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া শিগগিরই ১ হাজার মাইন নিষ্কাশনকারী ও ৫ হাজার সামরিক নির্মাণ শ্রমিক পাঠাবে। যারা কুরস্ক অঞ্চলের ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগও দাবি করে, উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে সেনা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে। জুলাই বা আগস্টে তাদের পাঠানো হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া নতুন করে বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠানোর খবরে বাড়ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উত্তেজনা। জাতিসংঘের ১১টি দেশের একটি যৌথ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালেই মস্কোতে অন্তত ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০ লাখ আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে পিয়ংইয়ং।