মার্কিন বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে রূপ নিচ্ছে ইয়েমেন।
রোববার রাতেও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে রাজধানী সানার একটি ব্যস্ততম বাজারের বেশ কয়েকটি ভবন এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। হতাহতের শিকারও হয়েছেন অনেকে। উদ্ধারকারীদের তৎপরতা ও অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
এর আগে শনিবার রাতে হোদাইদাহ প্রদেশে ১৩টি বোমা হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। এর দুই দিন আগে হোদেইদাহ'র রাস ইসা বন্দরে মার্কিন হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। রোববার নিহতদের গণজানাজায় অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। পরে রাস্তায় জড়ো হয়ে বেসামরিক ব্যক্তি এবং অবকাঠামোতে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানান ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ।
হোদেইদাহ হোক বা অন্যান্য প্রদেশ, যেখানেই মার্কিন আগ্রাসন চলবে তার নিন্দা জানাতে আমরা এভাবেই জড়ো হবো। কারণ এ হামলা কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। ইয়েমেনের বেসামরিক স্থাপনা ও মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, 'আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং বেসামরিক নাগরিকদের উপর অযৌক্তিক আক্রমণ চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কি কারণে তারা আমাদের সন্তানদের লক্ষ্যবস্তু করছে?'
চলতি বছরের মার্চে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। লোহিত সাগরে হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত হুতিবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা ওয়াশিংটনের। আর হুথিরা বলছে, ইসরাইল গাজা আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় হামলা অব্যাহত থাকবে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে আবারও যুদ্ধের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসের বিরুদ্ধে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয় গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনে চালানো সামরিক হামলার গোপন পরিকল্পনা ব্যক্তিগত সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে স্ত্রী, ভাই এবং ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গে শেয়ার করেছেন পিট হেগসে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ইয়েমেনে হামলার ছক ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই অভিযোগে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের 'গ্রুপ চ্যাটে' তিনি ভুল করে এক সাংবাদিককে যুক্ত করেছিলেন।