গেল ১৩ জুন তেহরানে আক্রমণের পর থেকেই ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণত ইসরাইলি ভূখণ্ডের বহু এলাকা। তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন শহরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে প্রতিশোধ অব্যাহত রেখেছে তেহরান। এরমধ্যেই ইরানে মার্কিন হামলায় উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।
ইরানের হামলায় প্রথমদিকে ইসরাইলি ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য গণমাধ্যমে উঠে এলেও, বর্তমানে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে বাধা দিচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ ইসরাইলিদের অনেক পোস্টে দেখা যাচ্ছে, বাস্তব চিত্র। ইরানের পাল্টা হামলা থেকে রক্ষায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন ইসরাইলিরা। জীবন রক্ষায় ঘর ছেড়ে বাঙ্কার কিংবা টানেলে রাত কাটাচ্ছেন তারা।
আরো পড়ুন:
ইসরাইলের একজন বলেন, ‘গেল সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। কারণ জীবন রক্ষায় আপাতত এটি সেরা আশ্রয়স্থল।’
অন্য একজন বলেন, ‘আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি। কারণ আমরা এই পরিস্থিতি চাইনি। বাধ্য হয়ে নিজেদেরকে রক্ষায় এখানে এসেছি।’
এ অবস্থায় সংঘাতকালীন পরিস্থিতি যেন সামনে না আনা হয়, সেজন্য সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ সবার জন্য সেন্সরশিপ আরোপ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। চলছে ধরপাকড়ও। ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে হতাহতের সংখ্যাও। তেহরানের হামলায় নাস্তানাবুদ হওয়ার দৃশ্য বিশ্ববাসীর সামনে চলে আসার মাধ্যমে নিজেদের দুর্বলতা প্রাকাশ পাবে ভেবে, ইসরাইল এমনটা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সরাসরি আপডেট:
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন দাবি করা হচ্ছে, ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামাসের তৈরি রকেট সফলভাবে প্রতিহত করতে পারলেও; ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থামানো এবার তাদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও অত্যাধুনিক। এর মধ্যে কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার কারণে ইসরাইলের যেসব ভবন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল না, সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ ইসরাইলিরা।