ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। যুদ্ধের শুরু থেকেই তার অবস্থান ছিল নানা গুঞ্জন। এমনকি তারে বেঁচে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তবে, সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বুধবার দেখা দিলেন ইরানের শীর্ষ এই নেতা। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনে প্রচারিত ওই ভাষণের শুরুতেই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরান জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেসময় দৃঢ় কণ্ঠে খামেনি বলেন, ইরানের অভিধানে আত্মসমপর্ণ বলে কিছু নেই। যুদ্ধের মাধ্যমে ইহুদি শাসনের পরাজয় হয়েছে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন ৮৬ বছর বয়সী এই নেতা।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘সবার আগে আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ। আমাদের সেনারা সফলভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরাইলের বিভিন্ন শহর ও সামরিক স্থাপনায় হামলা করতে সক্ষম হয়েছে। এ যুদ্ধে শত্রুপক্ষকে দমাতে অনেক আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।’
ইরানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল কোনোকিছু অর্জন করতে পারেনি বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। কারণ এতে তাদের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতিই হয়নি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘শত্রুপক্ষ আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। যদিও এ হামলায় তাদের অর্জন বলতে কিছুই নেই।’
এদিকে খামেনির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
এর আগে একক বিবৃতিতে খামেনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে ইরানে যদি কেউ হাত বাড়ায়, তার এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’