গাজায় ৮৬ শতাংশ কৃষিজমি ধ্বংস: জাতিসংঘ

গাজায় ইসরাইলি হামলার ধ্বংসাবশেষ
মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

অবরুদ্ধ গাজায় খাবার আনতে গেলেও, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যার পাশাপাশি উপত্যকাটির ফসলি জমিও ধ্বংস করছে ইসরাইলি বাহিনী। এরমধ্যেই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির ৮৬ শতাংশ কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়াও নয় শতাংশ জমি চাষাবাদের অবস্থায় না থাকায় আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে আর মাত্র দেড় শতাংশ।

ইসরাইলের নৃশংসতা থেকে গাজা উপত্যকার কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড তো চালানো হচ্ছেই; সৃষ্টি করা হয়েছে খাদ্য সংকটও। অনাহারে শিশু থেকে-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। খাবার আনতে গেলেও, ক্ষুধার্তদের গুলি করে হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজাবাসী যে ফসলি জমিতে কিছু শাক-সবজি উৎপাদন করবে তারও উপায় নেই। সেই ফসলি জমিকেও নিশানা বানিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে আবাদি জমি। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যে ওঠে এসেছে এমন তথ্য। তাদের হিসেবে, আর মাত্র দেড় শতাংশ ফসলি জমি চাষাবাদের যোগ্য রয়েছে গাজায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার-তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় গাজার প্রায় ৩২ হাজার একর বা ১৩ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে। যা উপত্যকাটির মোট কৃষিজমির ৮৬ শতাংশ। আর ৯ শতাংশ জমি চাষাবাদের অবস্থায় নেই। অর্থাৎ মাত্র ২৩২ হেক্টর বা দেড় শতাংশ জমি চাষাবাদের যোগ্য অবস্থায় রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর আগে উপত্যকাটির বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, বাদাম ও খাদ্যশস্য উৎপাদন করতেন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে- গাজায় অর্থনীতির প্রায় ১০ শতাংশ জুড়ে ছিল কৃষিকাজ। উপত্যকার ২০ লাখের মধ্যে ৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আংশিকভাবে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভর করতেন।

সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বারবার আহ্বানের পরও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। শুধু না খেতে পেয়ে উপত্যকাটিতে প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।

এসএস