ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাস না পেরোতেই জনবিক্ষোভের কবলে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে ট্রাম্পনীতির প্রতিবাদে। নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস, আটলান্টাসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে এক হয়েছেন দেশটির নাগরিকরা। এ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে।
বিশ্বের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব যে দেশের কাঁধে সেই দেশের নাগরিকরা প্ল্যাকার্ড হাতে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বানে নেমেছে রাজপথে। শুল্কনীতিসহ বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ অনেক নীতির পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পের এক একটা নির্বাহী আদেশ তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যৈ একজন বলেন, ‘অন্যান্যদের মতো আমিও এখানে এসেছি ট্রাম্পের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে। আইনের শাসনকে তোয়াক্কাই করছেন না ট্রাম্প।’
আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প একজন প্রতারক। সে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ট্রাম্প অপরাধী। তাকে অপসারণ করতে হবে।’
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো ও পর্তুগালেও ট্রাম্পনীতির প্রতিবাদের জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ট্রাম্প আসার পর তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই প্রথম এতো বড় বিক্ষোভ হয়েছে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ২ লাখ ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিনরা।
এদিকে তোপের মুখে সুর কিছুটা নরম করেছেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য অর্থনীতি চালুর আহ্বান জানান তিনি।