ওয়াল্টজকে সরিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হলো রুবিওকে

উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ওয়াল্টজকে জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হবে। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলছেন, মাইক ওয়াল্টজকে সিগনাল লিকের জন্য বহিষ্কার করা হয়নি।

১৯৭০ এর দশকে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টার দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করেছিলেন, হেনরি কিসিঞ্জার। এরপর ২০২৫ সালে এসে এই দুই পদের দায়িত্ব একসঙ্গে পড়লো মার্কো রুবিওর কাঁধে।

বৃহস্পতিবার হঠাৎই মাইক ওয়াল্টজকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। অন্তর্বর্তী দায়িত্বের জন্য স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে। অন্যদিকে, ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম এতো বড় রদবদল হলো ট্রাম্প প্রশাসনে। ট্রাম্প বলেন, যখনই কোনো সমস্যায় পড়েন, মার্কোকে ফোন করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না। প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চারজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।

শুধু মাইক ওয়াল্টজ নয়, পহেলা এপ্রিল থেকে অন্তত ২০ জন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক ও পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, মাইক ওয়াল্টজকে বহিষ্কার করা হয়নি। তাকে প্রশাসনে রাখা হচ্ছে।

জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘তাকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাখা হচ্ছে। মাইককে এনেছি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠনের জন্য। তার ওপর প্রেসিডেন্ট আর আমার আস্থা আছে। কিন্তু এটাও মনে হচ্ছে, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ভালো ভূমিকা রাখবেন। মিডিয়া যেভাবে প্রচার করছে, তাকে সেভাবে বহিষ্কার করা হয়নি। সিগনাল চ্যাট ফাঁসের ইস্যুতে তাকে বহিষ্কার করা হলে আগেই করতেন। মাইককে আরও ভালো জায়গা দেয়া হয়েছে।’

৫১ বছর বয়সী মাইক ওয়াল্টজ ফ্লোরিডার একজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। হোয়াইট হাউজে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে, যখন মার্চে সিগন্যাল চ্যাটে ট্রাম্প প্রশাসনের ইয়েমেনে হামলার কথোপকথন ফাঁস হয়। দুর্ঘটনাবশত আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সাংবাদিককে সিগনাল চ্যাটের গোপন কথোপকথনে যুক্ত করার অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এমন এক জায়গা, যেখান থেকে পৃথিবীর ভয়াবহ সংঘাতগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিয়ে নীতিগত নেয়া সিদ্ধান্ত হয়।

এসএস