শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার আবেদনে অভিযুক্ত করা হয় শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহম্মদ, কে এম নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশিক উল হকসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা যড়যন্ত্রমূলক ভোটারবিহীন দশম (২০১৪), একাদশ (২০১৮) ও দ্বাদশ (২০২৪) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং অধীনদের উক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। তারা অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে অনুষ্ঠিত এই তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে।
আসামিগণ তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের করদ রাজ্যে পরিণত করেন। এতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার পাশাপাশি গণতন্ত্র হত্যা করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেন। তারা রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় মামলার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া। আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান বারী ভূঁইয়া।