পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জলসুখা গ্রামের ডা. রেজাউল করিম, ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া ও জহুর হোসেন গংয়ের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু, সাবেক ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া ও রন্টি মিয়া গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এর আগেও একাধিকবার উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ফয়েজ আহমেদ খেলুর পক্ষের আজাদ মিয়ার লোকজন ডা. রেজাউল করিমকে রাস্তায় মারধর করে। এর জেরে গতকাল বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আজাদ মিয়ার স্ত্রীকে মারধর করে।
এর প্রেক্ষিতে আজ সকালে দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।