মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই স্কুলছাত্রীকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন নিজের প্রাইভেট সেন্টারে পড়াতেন গণিতের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬ এপ্রিল দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট সেন্টারে গেলে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই স্কুলশিক্ষক।
এসময় স্থানীয়রা তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ‘গণধোলাই’ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই দিনই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা পঞ্চগড় সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন হয়।
আরও পড়ুন:
এদিকে, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে মামলার কার্যক্রম। ঘটনার প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যেই সাক্ষীগ্রহণসহ বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালত বুধবার এ রায় প্রদান করেন। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় হলো। আমরা সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’