বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় ও হৃদয়বিদারক একটি দিন পবিত্র আশুরা। ৬১ হিজরির এই দিনেই ইমাম হুসাইন মাত্র ৭২ জন সহযোগী নিয়ে এজিদের ২২ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে শাহাদতবরণ করেন। এর মধ্য দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের এক মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তিনি। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নির্মম ঘটনার সাক্ষীও আশুরা।
বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও আশুরার দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। রোববার সকালে তাজিয়া মিছিল শুরু হবে। তবে এর আগে থেকেই পুরান ঢাকার হোসেনি দালান, ইমাম বাড়ায় আসতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা, বাড়ছে ভিড়। নামাজ, জিয়ারতসহ ধর্মীয় কর্ম সম্পাদনও করতে দেখা যায় তাদের।
দর্শনার্থীরা জানান, সেখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতাও রয়েছে সার্বক্ষণিক। এসময় তারা ইমাম হুসাইন ও তার পরিবারকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন বলেও জানান।
এবারের পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলসহ অন্যান্য কর্মসূচির নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এতে খুশি দর্শনার্থীরা।
পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের ১০ মহররমের তাজিয়া মিছিলসহ অন্যান্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় হোসেনি দালান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
হোসেনি দালান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফারহান হোসাইন বলেন, ‘আজ রাতে আমাদের একটা মিছিল আছে। কাল রাত ১০টা এবং তার পরের দিন সকাল ১০টায় আশুরার মিছিল।’
এদিকে আশুরা উপলক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় তাজিয়া মিছিলে যেকোনো ধরনের ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি বা পটকা বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।