রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন কাঁচা পেঁপে, চিচিঙ্গা আর মূলা ছাড়া কোনো সবজিই ৮০ টাকার নিচে নেই। পটল, করলা, গাজর, শসা, ঝিঙে, লাউ, কাঁকরোল, ঢেঁড়স কিংবা ধুন্দল, সবই ৮০ থেকে সেঞ্চুরির ঘরে। দোকানিরা টমেটোর দাম রাখছেন কেজিপ্রতি ১২০ টাকা। মৌসুমি ফুলকপি মিলছে ১২০ টাকায়। তবে স্বস্তির খবর সিমের দাম ৪০ টাকা কমে নেমেছে ১৬০ টাকায়।
ক্রেতারা জানান, সবজির সমারোহ থাকলেও দাম এত বেশি যে মধ্যবিত্তদের জন্য কেনা যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। আগে যেখানে ঝুঁড়ি ভরতি বাজার করা যেত এখন সেখানে সামান্য কিছু সবজি কিনতেই খালি হয়ে যাচ্ছে পকেট।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি উঠেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে কমেছে রসুনের দাম, এখন মিলছে ১৫০ টাকায়। আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। অন্যদিকে কাঁচামরিচ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
আরও পড়ুন:
সবজির পাশাপাশি মুরগির বাজারেও চড়া দাম। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, আর সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
ক্রেতারা জানান, তারা যা ইনকাম করছে তা বাজার করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র সবজিই নয় পাশাপাশি মাছ মুরগিতেও তাদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
চালের বাজার অবশ্য তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। রপ্তানির কারণে ভারতীয় চালের দাম কমেছে, সঙ্গে কমেছে দেশি মিনিকেটও। প্রকারভেদে মিলছে ৫০ থেকে ৮৫ টাকায়। তবে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ টাকায়।
অন্যদিকে মাছের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল। রুই, পাঙ্গাশ, কই কিংবা শিং মাছ এখনও নাগালের মধ্যে। তবে ইলিশ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সব মাছের দামই হাতের মধ্যে আছে। তবে ইলিশ মাছের দাম এখনো আওতার মধ্যে আসছে না। নদীতে মাছ নেই। মাছ পাওয়া গেলে দাম কমে যাবে বলে জানান মাছ ব্যবসায়ী।
সবজির দাম হঠাৎ চড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, টানা বৃষ্টি আর সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি। তবে তাদের আশা শীতের সবজি উঠলেই আবার কমবে দামের আগুন।