৫-১০ টাকা বেড়েছে সবজিতে, কাঁচা মরিচে আগুন

কাঁচাবাজার
বাজার
0

ঈদের ছুটির পর এবং বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাজারে সবজির দাম আরও এক দফা বেড়েছে। সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বাড়লেও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে চলেছে লাফিয়ে। এদিকে দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ভিন্ন কথা বলছেন বিক্রেতারা।

ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো জমে ওঠেনি কারওয়ান বাজার। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতার পাশাপাশি পণ্য সরবরাহও কম। ঈদে যারা ঢাকাতেই ছিলেন মূলত তারাই এসেছেন বাজারে।

রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা বাজারে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই চলেছে কাঁচা মরিচ। ঈদের পরপর কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা ছাড়ায় এর ঝাল। তবে শুক্রবারে বেশ কিছুটা কমে এসে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা।

এদিকে মরিচের সাথে দাম বাড়তি রয়েছে সালাদ তৈরির অনুষঙ্গ শসা, টমেটো আর গাজরের। ঈদের আগের ৬০ টাকা কেজি শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৮০-৯০ টাকা আর টমেটো হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা।

|undefined

অপরদিকে এখনো‌ ১০০ টাকার ওপরে রয়েছে করলা আর কচুরমুখীর দাম। এছাড়া বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাকরোল-পেপে ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি ও চালকুমড়া ৩০-৫০ টাকা এবং পটল, ধুন্দুল ও‌ ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরবরাহ কম থাকায় ঈদের পর কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। চাহিদা কম থাকার পরও বিভিন্ন সবজির দাম কেন ৫-১০ টাকা বেশি সে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতারা। উচ্চ মূল্যের বাজারে অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে বলে জানান।

|undefined

তারা বলেন, দাম তো কমবে না। বাংলাদেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে তা সহজে কমে না। সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এখন বর্ষাকাল তাই দাম আরও বাড়বে। কিন্তু আমাদের আয়-রোজগার তো আর বাড়ছে না।

বাজারে ক্রেতার ভিড় না থাকায় কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়, তবে সোনালি মুরগি কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। এদিকে ঈদের পর মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বাড়তি দামের অভিযোগ ক্রেতাদের।

|undefined

এদিকে ঈদের পর বেশিরভাগ দোকান এখনো খোলেনি। এছাড়া ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফেরেননি অনেক দোকানি ও কর্মচারী। ধীরে ধীরে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমে আসবে বলেও জানান বিক্রেতারা।

তারা বলেন, ঈদের পর থেকে সরবরাহ কিছুটা কম আছে। কারণ সবাই এখন বাড়িতে পরিবার নিয়ে ব্যস্ত। আগে যেখানে আসতো ১০ গাড়ি আর এখন আসে ২ গাড়ি। এজন্য দাম কিছু বাড়ছে।

তবে বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়া বৈরী হলে বাজারে উল্টো প্রভাবও পড়তে পারে বলে শঙ্কা জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।