মিটারের দুই পাশে দুটি বাটন। একটি এ এবং অন্যটি বি। মিটার রিচার্জ করার সময় এ বাটন চেপে ধরতে হবে। এরপর কার্ডিটি এ এবং বি বাটনের মাঝামাঝি নিচে টাচ করে রাখলেই মিটার রিচার্জ হয়ে যাবে। যা দেখা যাবে মিটারের স্ক্রিনেই।
বর্তমানে একজন গ্রাহককে মাস শেষে ব্যবহার করুক বা না করুক ১০৫০ টাকা গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে। তবে প্রিপেইড মিটারে গ্রাহক যেটুকু ব্যবহার করবেন ঠিক ততটুকুই বিল কাটা হবে। ফলে অযথা বাড়তি খরচ থেকে গ্রাহক যেমন বাঁচবেন, তেমনি সাশ্রয় হবে গ্যাসও।
ভবন মালিক মো. এম এ মতিন বলেন, 'যখন আমার ভাড়াটিয়া থাকবে না তখন আমার মিটার বন্ধ থাকবে। গ্যাসের অপচয় হবে না।'
কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রথম ২০১৮ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করে। সেবার ৬২ হাজার মিটার স্থাপন করা হয়। সুফল পাওয়ায় এবার ১ লাখ মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মিটার স্থাপনে সহায়তা করছে জাইকা। জাপান থেকে আনা এসব মিটার ভূমিকম্পরোধী। অর্থাৎ ভূমিকম্পের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এই মিটার। টাকা ফুরিয়ে গেলে ইমার্জেন্সি ১০ দিনের গ্যাস ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। যার দাম পরবর্তী রিচার্জে সমন্বয় করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, 'গ্রাহকদের নিজের মোবাইল থেকে রিচার্জ করার ব্যবস্থা চালু করেছি। তারা যেমন ব্যভহার করবে সেই পরিমাণ বিল দিবে। আগে আনলিমিটেড গ্যাস ব্যবহার হতো। এখন এটা লিমিটেশনের মধ্যে চলে আসবে।'
চট্টগ্রামে গ্যাসের আবাসিক গ্রাহক আছেন ৬ লাখের বেশি। আর বাণিজ্যিক ও আবাসিক মিলিয়ে দৈনিক চাহিদা ৩৫০ মিলিয়ন ঘন ফুট।
প্রিপেইড এই মিটারগুলো মূলত ব্যাটারি সিস্টেম। যার মেয়াদ অন্তত ১৫ বছর। রিচার্জের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কিংবা ভূমিকম্পজনিত কারনে মিটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে হটলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে মিটার চালু করতে পারবেন। অর্থাৎ গ্যাস সাশ্রয়ের পাশাপাশি এই মিটারের রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। তাই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গ্রাহক এ মিটারের জন্য আবেদন করছেন।