জুলাই আন্দোলন সফল করতে বুলেট বোমার সামনে নির্ভীক নেতৃত্বে ছিল নারীরা। বিপ্লবে স্লোগানে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কণ্ঠস্বর ছিল সমানে সমান। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্কুল কলেজের ছাত্রীরাও নেমে আসে আন্দোলনের মাঠে।
আন্দোলনে যে নারীরা ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন- তাদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে শিকার হচ্ছেন হয়রানির! জাতীয় প্রেসক্লাবে কথা বলো নারী'র আয়োজনে সংকট ও সম্ভাবনায় নারীর চোখে বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এমন অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নারীরা।
নারীদের অনলাইনে বুলিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে সরকারের কোন ভূমিকা নেই বলেও অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। নারী ইস্যুকে সেকেন্ডারি ইস্যু হিসেবে না দেখে নারীদের হয়রানির ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘নারীর রাস্তায় হাটাচলা করা, প্রত্যেকটা বিষয়ে যে অনিরাপত্তা তৈরি হচ্ছে সেটাকে একসাথে দমন করা জরুরি। এবং আমি আশা করি সরকার এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিবে।’
শুধু চব্বিশ নয়, একাত্তরের নারীদের বীরত্ব গাঁথা অর্জনও ভুলে যাওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। জানান, মেয়েদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাইবার বুলিং প্রতিরোধে অলটারনেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি করতে নারীদের নিয়ে ইউনিট গঠন করা হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সোশ্যাল ওয়ার্ক কনসেপ্টে আমরা একটা সোশ্যাল ফোর্স তৈরি করতে চাই। আমি আমার সব কাজ বাদ দিয়ে এ জায়গাটার ওপর জোর দিয়েছি। আমার পুরো মন্ত্রণালয়ের ফোকাস হচ্ছে নির্যাতনমুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করা। যেখানে নারী ও শিশু নিরাপদে বাস করবে।’
মতবিনিময় সভায়, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়েও বক্তব্য রাখেন অনেকেই।