সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের

ছাত্রদলের শাহবাগে অবস্থান
দেশে এখন
0

সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে দেশ অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্রদল। অঝোর বৃষ্টি ভেঙে প্রায় দুই ঘণ্টা শাহবাগ চত্বর অবরোধ করে সংগঠনের নেতারা জানান, সঠিক বিচার না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। এর আগে আজ (মঙ্গলবার, ২০ মে) সকালে সাতদিনেও সাম্য হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের ধরতে না পারায় পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেন সহপাঠীরা।

অঝোর বৃষ্টি আর নেতাকর্মীদের ঝোড়ো শ্লোগানে সরগরম শাহবাগ চত্বর। ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো টানা দুই ঘণ্টা অবস্থান করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দিকে। জানান, সাতদিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিরা আড়ালেই রয়ে গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার না হলে উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজকের এই শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা ব্যর্থ প্রশাসন, ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। এই ব্যর্থ প্রশাসন এখন পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার কোনো ফুটেজ, কোনো আলামত নাকি তারা সংগ্রহ করতে পারেনি।’

এদিকে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ছাত্রশিবিরকে ইঙ্গিত করে জানান, সংগঠনটি সাম্য হত্যার ন্যারেটিভ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। সাম্য হত্যার সঠিক বিচার না হলে দেশ অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্য হত্যা বিচারের দাবিতে তারা সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুঃখ প্রকাশ করেনি। সাম্যের পরিবার তো পরের কথা, সাম্যের জানাজার নামাজটাও পড়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। এই কি জুলাই-আগস্টের স্পিরিট ছিল? আমরা তাদের ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বলতে চাই, কারা এই বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের স্পিরিটের পরিপন্থি কাজ করছে। জুলাই-আগস্টে সকল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। সেই ঐক্যকে করা বিনষ্ট করছে? আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিবেকের উপর দায় ছেড়ে দিলাম।’

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে সহপাঠীরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কালক্ষেপণে মূল আসামিরা পার পেয়ে যেতে পারে। মূল আসামি গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সাম্যের সহপাঠীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যেই অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে, যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে। তারা সাম্যকেও রিপ্রেজেন্ট করতো। অথচ সেই সাম্যের বিচার আনার ক্ষেত্রে আমরা তাদের গাফিলতি লক্ষ্য করেছি। এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাখছি।’

সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক দলগুলোকে নোংরা রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন সহপাঠীরা।

এসএস