গেলো দু’সপ্তাহে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সাত শতাধিক মানুষকে পুশইন করেছে ভারত। প্রতিটি পুশইনের পর কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়ে প্রতিবাদ করেছে ঢাকা। দিল্লিকে অনুরোধ করা হয়েছে কূটনীতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করার।
সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ফেরত নিতে ২৩৬৯ জনের তালিকা পাঠিয়েছে ভারত। সেই তালিকা যাচাইয়ের কাজ চলছে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলছেন, ভারতের পাঠানো তালিকা যাচাই করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময় লাগছে। বাংলাদেশি নাগরিক নয় এমন কাউকে পুশইন না করানোর বিষয়ে ভারতকে জানানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা এটার একটা অ্যামিকেবল সল্যুশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি আমাদের প্রতিবেশী দেশের সাথে। বাংলাদেশি না, এমন কাউকে আমাদের বাংলাদেশে যেন পাঠানো না হয়। আমরা ওদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে, অফিসিয়ালি এবং আনঅফিসিয়ালি যোগাযোগ করছি এবং এটা নিয়ে কাজ করছি।’
ভারত থেকে বাংলাদেশবিরোধী কোন প্রচারণা যেন না হয়, সেই ব্যাপারেও বলা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ তার সময়ের মন্ত্রীদের বিচারের ক্ষেত্রে কোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আলাদাভাবে কোনো কেস আমরা তাদের বলি না। আমরা ওদের জেনারেলি বলি যে তোমরা এমন কাউকে প্রশ্রয় বা আশ্রয় দিও না, যারা আমাদের বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, বাংলাদেশ বা তার সরকার সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।’
জাপানে প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় উঠে আসে। সফরের ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হবার কথা রয়েছে।
জাপানের কাছে চাওয়া হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা। তবে কত পাওয়া যাবে সেটা চূড়ান্ত হবে এই সফরেই।
রুহুল আলম সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘এই ভিজিটে আমাদের প্রধান এমফিসিস হচ্ছে বাজেট সাপোর্ট। বাজেটারি সাপোর্টে আপনারা জানেন যে, আমাদের ২টা বাজেট থাকে। একটা হচ্ছে রেভিনিউ বাজেট, আরেকটা হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট বাজেট।’
সফরে প্রাধান্য পাবে, কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু।