সংগঠনের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ঈদগুলোর তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ২২.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.০৭ শতাংশ, আর আহতের হার বেড়েছে ৫৫.১১ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, নৌপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি আরো জানিয়েছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার প্রতিবারই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ঈদের সময় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, দক্ষ চালক তৈরি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিষিদ্ধকরণ এবং সড়ক পরিবহন আইনের কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রাণহানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, চালকের অদক্ষতা ও আইন অমান্য করার প্রবণতা দায়ী।’