একসময় এই বাড়িগুলোতে নেতাকর্মীসহ হাজারও মানুষের ভিড় লেগে থাকতো। প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল দৃশ্যমান। কিন্তু এখন তা নিবর, সরকার পতনের পর বাড়িগুলোতে যেন পড়েনি কারও পা।
এই বাড়িগুলো ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ ও এম এ মালেকের। দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে হত্যা মামলা, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগ। এর মধ্যে এম এ মালেক গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত হলেও এলাকায় ফেরেননি কেউই।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির ও মালেক অনেক অপকর্ম করেছে। ধামরাইয়ের উন্নয়নের সমস্ত টাকা পয়সা লুটপাট করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে।’
অন্য কজন বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধামরাইবাসী যে দুর্নীতি দেখেছে মরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা আছি, তারা চাইবো না যে আগামীতে এই দুর্নীতিগুলো হোক।’
এলাকাবাসী বলছেন, ক্ষমতার দাপটে একসময় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছে আওয়ামী লীগের এই দুই এমপি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের লুটপাট, সরকারি অর্থ আত্মসাতে উন্নয়নের মুখ দেখতে পায়নি ধামরাইবাসী।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘ক্ষমতার নামে মানুষকে লুটপাট করেছে। বিভিন্ন সময়ে তারা বিশেষ করে বেনজির মালেয়শিয়াতে লোক পাঠানোর কথা বলে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে।’
পুলিশ বলছে, ধামরাই থানায় সাবেক এই দুই এমপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেনজির আহমদ ও এম এ মালেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে এম এ মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে বেনজির আহমদ পলাতক রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের একাধিক টিম কাজ করেছে।’
ক্ষমতার বলয়ে থেকে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা এই রাজনীতিবিদরা আইনের আওতায় এলে তা সমাজের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।