তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। অর্গানিক ফল আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এ মেলার মাধ্যমে আমরা সেই ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি।’
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পাহাড়ি ফল মেলা শুধু একটি বাণিজ্যিক আয়োজন নয়, বরং এটি পাহাড়ি জীবনের সঙ্গে নগরবাসীর একটি আত্মিক সংযোগ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি ও নারীর ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাহাড়ি নারীরা অর্গানিক ফল চাষে যে নিষ্ঠা ও শ্রম দিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয় তাদের পাশে আছে এবং প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও বাজার সংযোগে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমরা কোয়ালিটি এডুকেশন, লাইভলি হুড ডেভেলপমেন্ট, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক সংযোগের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করা হবে। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আসবে। এটি শুধু শিক্ষার মান উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।’
উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ পাহাড়ি ফল মেলা শুধু ভোক্তা ও কৃষকের সংযোগ নয়, বরং একটি সমন্বিত শিক্ষা, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মঞ্চ। উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই, রাজধানীবাসী পাহাড়ি সংস্কৃতিকে শুধু দেখবে না, অনুভব করবে। এই আয়োজন একটি টেকসই ভবিষ্যতের পথে আমাদের অগ্রযাত্রার প্রতীক।
সন্ধ্যায় আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য, যা দর্শনার্থীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।