'এনবিআরকে দুই ভাগ করার বিষয়ে অধ্যাদেশে মৌলিক ত্রুটি ছিল'

কথা বলছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
দেশে এখন
0

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এনবিআর বিলুপ্তির পর গঠিত নতুন দুই বিভাগের সচিব নিয়োগে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে দ্বন্দ্বের জেরেই কর্মকর্তারা আন্দোলনে নামেন; পরবর্তীতে যা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেবার ষড়যন্ত্র ছিল। জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, এনবিআরকে দুই ভাগ করার বিষয়ে অধ্যাদেশে মৌলিক ত্রুটি ছিল।

আজ (রোববার, ১৩ জুলাই) ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল রাখার লক্ষে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির তাদের অগ্রগতি তুলে ধরতে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে, চট্টগ্রামই বন্দরই বন্ধ! স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইনখ্যাত প্রধান আমদানি-রপ্তানি বন্দরের এমন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং এই আন্দোলন এমন একটা সময় শুরু হয়, যখন সরকার রাষ্ট্রের অর্থকাঠামো সংস্কারের অংশ হিসেবে এনবিআরকে দুইভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এটা কি খাতুনগঞ্জের আড়ত নাকি! যে আপনার শরীর খারাপ করছে আপনি বন্ধ করে চলে আসবেন। আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

সচিবালয়ে বন্দর, শিল্প ও রাজস্ব কার্যক্রমে গতি বাড়ানো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির, যিনি এনবিআর আন্দোলন ইস্যুতে গঠিত ৫ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। বলেন, এভাবে আন্দোলন করে রাজস্ব ও শুল্ক কর্মকর্তা সরকারের আস্থা হারিয়েছেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এখন এনবিআরের কর্মকর্তারা তাদের আচরণের মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার চায় রাজস্ব আদায় বাড়ুক। সরকার চায় ট্রেড বৃদ্ধি পাক।’

জ্বালানি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন এবং এনবিআরের আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেবার ষড়যন্ত্রের কথা। প্রশ্ন করা হয়, এনবিআর কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর কি তাহলে এসবের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ?

এখানে উপদেষ্টা অবশ্য স্বীকার করেন, অধ্যাদেশে ত্রুটি আছে এবং কিছু ধারা সংশোধন করা হবে। জানতে চাওয়া হয়, উপদেষ্টা পরিষদ কি এই ত্রুটির দায় এড়াতে পারে?

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এনবিআরের এই নাম না থাকা সবার জন্যই ভালো। দুইটা ডিভিশনের কথা বলা হয়েছে সেটা হবে। অধ্যাদেশে ত্রুটি আছে। কিছু ধারা সংশোধন করা হবে।’

তিনি বলেন, 'যারা এটা করেছেন, তারা খানিকটা চতুরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন। অধ্যাদেশ সংশোধনে সুপারিশ দিবে এই কমিটি।'

ফাওজুল কবির খান বলেন, 'সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগে নীতিমালা করা হবে। কর্মকর্তাদের আন্দোলনের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে উপদেষ্টা উল্লেখ করে, এনবিআরের আন্দোলন প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকেও শুরু হয়েছে। দাবি করেন, সব সূচকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো এবং তাদের কমিটির সুপারিশ অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাজস্বসহ অর্থনৈতিক অন্যান্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে।

সেজু