অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ছুটিতে থাকা বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। ১ জুলাই তিনি সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। একই ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে আজ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। প্রধান বিচারপতি এরইমধ্যে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি ও শেখ হাসিনা সরকারের ‘দোসর হিসেবে’ কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাদের বেঞ্চ দেয়া স্থগিত করা হয়।
১২ জন বিচারপতির মধ্যে ছিলেন-বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
অভিযোগ ওঠার পর এই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্বে। এর ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।