এর আগে সমাবেশে নুরুল হক নুর যোগদানের কিছুক্ষণের মধ্যেই দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে শান্ত হন কর্মীরা।
আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের চিন্তাভাবনা বিষয়ক যুব সমাবেশে নুর বলেন, ‘আগামীতে যারাই জনপ্রতিনিধি হবে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সিল মেরে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন যেন না দেখে। জনগণ যাকে সমর্থন করবে তারাই জনপ্রতিনিধি হবে।’
এসময় তিনি ভারতের নানা বিষয়ে সমালোচনা করে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করতে হলে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল আসন থেকে অংশগ্রহণের জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এসময় গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন না হলে আজকের এই বাংলাদেশের শেখ হাসিনার পতন হতো না। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। কিন্তু আমার ভাইয়েরা, আমাদের নতুন বন্দোবস্তকারীরা আজকে সেটাকে অস্বীকার করে। তারা আজকে গণঅধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের যে আন্দোলন, যে অর্জন সেটিকে অস্বীকার করতে গিয়ে নিজেরাই আজকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ।’
যুব অধিকার পরিষদের নারানয়গঞ্জ মহানগরের সভাপতি শেখ সাব্বির রাজের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।