আগামী দিনের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরো বাংলাদেশের নজর যখন যুক্তরাজ্যের দিকে তখন লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠকে অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সকাল থেকেই এই বৈঠক নিয়ে বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, এই বৈঠকের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কমবে তেমনি শিগগিরই দেশে নির্বাচনের পরিবেশও সৃষ্টি হবে।
প্রবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই বিপরীত দলের সঙ্গে একটা সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন আছে।’
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলা দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে আগামী নির্বাচনের বিষয়টি সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে। প্রস্তাব করা হয় আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দেয়ার। দিনশেষে বৈঠকটি সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমদ বলেন, ‘দেশবাসীর যে প্রত্যাশা ছিল সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে।’
যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৈঠকের ফলাফল অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং আমাদের প্রত্যাশিত ফলাফল আমরা পেয়েছি।’
বৈঠক শেষে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে হোটেল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। গাড়িতে ওঠার আগে হোটেলের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পর কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে এটিই তার প্রথম একান্ত বৈঠক।