চলতি সপ্তাহে কয়েকটি দলের সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে আগামী নির্বাচন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে সমমনা দলগুলোর সাথে আলোচনা হয়। যদিও বিএনপি কোন দলকে কত আসন ছাড়বে সে নিয়ে কিছুই জানা যায়নি।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে আভাস মেলে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হতে পারে আসন ভাগাভাগি।
আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হলে তো এই প্রক্রিয়া হবে। আমরা সে জায়গায় এখনো আসিনি। যখনই নির্বাচনী কার্যক্রম, তফসিল ঘোষণা হবে এ আলোচনাগুলো, এ বিষয়গুলো উঠে আসবে এবং সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হবে।’
এর আগে গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে খসরু জানান, বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ের জন্য ইইউ তহবিল দিতে আগ্রহী। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত স্বস্তি জানান।
আমীর খসরু বলেন, ‘অবশ্যই সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে এজন্য সবার একটা স্বস্তি, সন্তুষ্টি আছে। বিচার বিভাগে নিজস্ব সচিবালয় থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে। এটাকে যদি স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হয় তাহলে নিজস্ব সচিবালয় থাকা দরকার। এই বিষয়টা তারাও সমর্থন করে। তারা এ ব্যাপারে ফান্ডিং করতেও রাজি আছে।’
এদিকে সকালে এক অনুষ্ঠানে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে জানান, নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে সংস্কার কমিশনে। কোনো কাঠামো দাঁড় করিয়ে নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলে দেশ চালানো কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, নির্বাহী বিভাগকে যত বেশি নিয়ন্ত্রিত করা যায়। সেটা নির্বাহী বিভাগকে অতীতে একজন স্বৈরাচার হয়েছিল সেজন্য নির্বাহী বিভাগকে আমরা বিলুপ্ত করতে পারবো না। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না। নির্বাহী বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগকে বিচার বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে।’
তিনি জানান, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব বিভাগকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাখা জরুরি। সেইসাথে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।
এসময় তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এ বিষয়ে বিএনপি আগে থেকেই একমত।’