তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। দল হিসেবে আমাদের নীতি ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বলছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকেই পাশে রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার সংস্কার শুরু করেছে। তবে রাষ্ট্রের যৌক্তিক সংস্কারে বিএনপি-ই প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল। বিএনপি যদি ছাড় না দিত, তাহলে অন্যরা আজ এতটা আত্মবিশ্বাস পেত না। বিএনপি বড় দল, আমাদের দায়িত্বও বড়। তাই গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে আমরা ছাড় দিচ্ছি।’
সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে, বিএনপি তখনই সোচ্চার থেকেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারবিহীন সময়টুকু বিএনপিই দেশের শৃঙ্খলা ধরে রেখেছিল।’
বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের চর্চা আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও বজায় রাখতে চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই আমরা ভিন্নমতকে গুরুত্ব দিই, শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, ‘দলের সুনাম যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। যদি কেউ দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে কোনো ধরনের ছাড় বা প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’
সম্মেলনে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জনগণের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে আমরা সব সময় প্রস্তুত।’