তিনি বলেন, ‘আবার যদি এ অবস্থায় একটা নির্বাচন হয় তা হবে নির্বাচন ব্যবস্থার গণহত্যার শামিল। আমাদের সন্তানদের রক্তের সাথে আমরা বেইমানি করতে পারবো না। কাউকে বেইমানি করতে দেব না। আমরা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং দেখতে চাই না।’
ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রহিম।
এর আগে সকাল থেকে জেলা জামায়াতের রুকনদের নিয়ে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত আমীর বলেন, ‘আল্লাহ পর্যাপ্ত সময় দিয়েছেন দেশকে গঠন করার। কিন্তু আমরা পারিনি। সব সরকার বাহবা চায়। এ সরকারও ব্যতিক্রম নয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন তারা গণতন্ত্র চায় না। তাদের সময় একটা বালিশের মূল্য ছিলো ৭২ হাজার টাকা, পর্দার দাম সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এ হলো তাদের উন্নয়ন। তাদের দুঃশাসনে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। আওয়ামী কালো অধ্যায় দূর হয়েছে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কি করেনাই জামায়াতের বিরুদ্ধে। বলেছিলাম আমরা ধৈর্য ধরবো। আমরা পাহারা বসিয়ে দিলাম। তখন জনগণের সরকার ছিল। সংস্কারে বাধা দেয়া উচিত হবে না। জাতির মৌলিক স্বার্থে এক হতে হবে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থা হত্যার শামিল হবে। আমরা ছাত্র জনতার রক্তের শোধ দিতে প্রস্তুত। ফ্যাসিস্ট আমলের মত কোনো নির্বাচন আমরা হতে দেব না। সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আল্লাহর যার অন্তরে থাকবে তার মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ হবে না।’
নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিবর্তনের যুগ সন্ধিক্ষণে। পরিবর্তনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আগামী নির্বাচন আমাদের জীবন মরণ চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ। মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নীতিগত যায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।