পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুরুতে একান্তে এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, তৌহিদ-দারের বৈঠকে ব্যবসা, বিনিয়োগ, সংযুক্তি, কৃষি, নানা পর্যায়ে দুই দেশের লোকজনের চলাচল সুগম করাসহ দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় আলোচনায় থাকবে।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) সফরের প্রথম দিনে পাকিস্তান দূতাবাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। শুরুতে সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে এনসিপি জানায়, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির পাশাপাশি একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিন বিকেলে ইসহাক দারের সাথে বৈঠকে বসে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে অর্থবহ আলোচনা হয়েছে বলে জানায় জামায়াতে ইসলামী।
আরও পড়ুন:
সবশেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বৈঠক শেষে কোনো মন্তব্য না করেই বেরিয়ে যায় বিএনপির প্রতিনিধি দল।
এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ে ঢাকা সফর করেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। আর গেলো বুধবার আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।