আজ (মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট) সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছি। এবারের নির্বাচন রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। পিআর বা গণপরিষদের দাবি কেবল রাজনৈতিক কৌশল, মাঠ গরম করার জন্য কিছু বক্তব্য।’
তিনি জানান, বিএনপি জুলাই সনদ-অঙ্গীকারনামার কিছু বিষয়কে অযৌক্তিক মনে করেছে। তবে বিকল্প প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সময় দেয়া হবে। সংবিধানের ঊর্ধ্বে কোনো বিষয় বিএনপি গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক সংস্কার অবশ্যই ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। সংসদ নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পর সেগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা চায় না বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবার ঐকমত্যে এ সরকার গঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি পুনর্বহাল হলে পরবর্তী নির্বাচনে সেটি কার্যকর হতে পারে। বর্তমান সরকারের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন হবে, অন্যকিছু ভাবার অবকাশ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে এটি তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা। তবে যারা বাহানা দিয়ে বয়কট করবে, তারা ভবিষ্যৎ রাজনীতি থেকে নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে।’
জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে, এমনকি আগামী সরকারের অংশীদারও হতে পারেন তারা। কয়েকটি ইসলামী ঘরানার দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ বিগত আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গেও জোট হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।