এ্যানি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ১ বছরের একটু বেশি হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যের জায়গায় খুব ভালোভাবে আছি? যে ঐক্য নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সেই জায়গায় আছি? আমিতো দেখি না। কারণটা কি, সমস্যাটা কোথায়? কেন আজকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর রক্তাক্ত হতে হয়? নুরুর ওপর আঘাত কারা করেছে? এটা খুঁজে বের করতে হবে। এটা আরেকটা ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। এ ষড়যন্ত্র, সামনে যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা, এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘হাসিনার অত্যাচার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি ছিল না। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে নি। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজার পর সাজা দিয়েছে, জেলে রেখেছে, অত্যাচারের পর অত্যাচার করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে।’
আরও পড়ুন:
জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে এ্যানি বলেন, ‘ঐক্যের মধ্যে যদি বিন্দুমাত্র ফাটল সৃষ্টি হয়, সুযোগটা ফ্যাসিস্ট নেবে, ফ্যাসিস্ট দখল করবে। সুযোগটা ষড়যন্ত্রকারীরা নেবে, যারা দেশের শত্রু, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্রু। জুলাই আন্দোলনের যে প্রজন্ম, জুলাই আন্দোলনের যে রাজনৈতিক দল, সবাই মিলে যে ঐক্যের জায়গায় ছিলাম, সেই ঐক্য আবারও আমাদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য সৃষ্টি করে এ বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।’
সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, হাফিজুর রহমান, আবুল হাশেম, হারুনুর রশিদ বেপারী ও সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।