রাজধানীর রেস্তোরাঁ কতটা নিরাপদ হয়েছে?

ধানমন্ডির বহুতল ভবনের দিকে তাকালেই মনে হবে রুফপট রেস্তোরাঁয় মেলা
দেশে এখন
বিশেষ প্রতিবেদন
0

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার বছর পার হলেও, কতটা নিরাপদ হয়েছে রাজধানীর রেস্তোরাঁ? ঘটনার পর মিডিয়া ডেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ তোড়জোড় শুরু হলেও, তা মিলিয়ে গেছে সময়ের সঙ্গে। ক্যালেন্ডারের পৃষ্ঠা শেষে সব অনিয়মের তদারকি যেন ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরে।

৪৬ প্রাণের বিনিময়ে রাষ্ট্রের অবহেলা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল বেইলি রোড। মৃত প্রাণের শরীরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত দেখে সেদিন আঁৎকে উঠেছিল পুরো বিশ্ব। নড়েচড়ে বসেছিল রাষ্ট্র কাঠামো।

বেইলি রোডের পুরে যাওয়া ভবনটির ঠিক পাশের ভবনের নিচে রেস্তোরাঁ আর উপরে আবাসিক ভবন। অথচ রাজউকের বিল্ডিং কোডে তো এমন থাকার কথা ছিল না।

বিল্ডিং কোড মেনে কতজন রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে রাজধানীতে সে হিসেব কষতে চায় এখন টিভি। শুরুটা মিরপুর থেকেই করা যাক। এখানে ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়িয়েছে রুফটপ রেস্তোরাঁ। অধিকাংশ রেস্তরাঁর নেই ফায়ার লাইসেন্স।

এবার গন্তব্য ধানমন্ডিতে। এই এলাকায় রেস্তরাঁর কোনো অনুমোদন দেয়নি রাজউক। অথচ রেস্তরাঁর সাইনবোর্ডে কারণে এই ভবনটির নাম বেড় করাই কঠিন। লাইনে দাঁড়িয়ে এই ভবনটির ১০ টির বেশি রেস্তরাঁয় খেতে যায় মানুষ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘এখানকার কোনো বিল্ডিংয়ের কোনো নিরাপত্তা এখন নেই। যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন মনে পরে।’

এতো মানুষ। লিফট মাত্র দুটি। অগ্নিদুর্ঘটনা হলে নামার উপায় কী?

আবারও শুভঙ্করের ফাঁকি। যেন কাজির গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই অবস্থা।

ধানমন্ডির বেশ কয়েকটি ভবন অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে কেউ শোনেনি তাদের কথা।

ঢাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না বন্ধ করা। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন আছে, রাজউক আছে এবং বিভিন্ন সংস্থা আছে জড়িত। সবার প্রচেষ্ঠায় আমরা দুর্ঘটনা রোধে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারি।’

ধানমন্ডির বহুতল ভবনের দিকে তাকালেই মনে হবে রুফপট রেস্তোরাঁয় মেলা। যেন দেখার কেউ নেই। কি দায়িত্ব পালন করছে রাজউক।

রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে দুর্ঘটনা ঘটছে সেখানে গিয়েছ। কিছু দোকান বন্ধ করছে কিন্তু তা কোনো পরিকল্পনায় বন্ধ হয়নি।’

রাজউকের মৌসুমি উদ্যোগে প্রায় বিপাকে পড়তে হয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের। ভয় না দেখিয়ে স্থায়ী সমাধান চান তারা।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির মহাসচিব মো. ইমরান হাসান বলেন, ‘কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে ওই সমস্ত সংস্থাগুলোর একটা ব্যবসার সুযোগ হয়ে যায়।’

ভোজন রশিক বাঙালির খাবার বিনোদন নিরাপদ রাখতে কথায় নয় কাজে প্রমাণ দেয়ার আহ্বান রাজধানী বাসীর।

সেজু