ঘরোয়া ক্রিকেটে বাড়ছে অরাজকতা!

অনুশীলনে তাওহীদ ও মোহামেডানের অন্যান্য ক্রিকেটাররা
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

দিন যত এগুচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বাড়ছে অরাজকতা। বোর্ড সভাপতিসহ ৭ পরিচালকের নির্দেশনায় শক্তিশালী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়কের শাস্তি কমাতে ক্রিকেটের আইন পরিবর্তন, আম্পায়ার্স কমিটির সভায় বিসিবির দুই ম্যাচ রেফারির তুমুল দ্বন্দ্ব। যেন পাড়ার ক্রিকেটে রূপ নিয়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। প্রশ্ন উঠেছে অরাজকতা থামাতে বোর্ড সভাপতির ভূমিকা নিয়েও।

আম্পায়ারদের নিয়ে বাজে বক্তব্যের পর ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন হৃদয়। তবে, অজানা কারণে এক ম্যাচ পরেই হঠাৎই ডিপিএলের ম্যাচ খেলেন তিনি। এরপর জানা যায়, মোহামেডানের এই ক্রিকেটারকে ম্যাচ খেলাতে বিসিবির কোড অব কনডাক্টে পরিবর্তন আনে ক্রিকেট বোর্ড। যে প্রক্রিয়ার পুরোটাই হয় ক্রিকেটের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।

জানা গেছে, বিসিবির শীর্ষ কর্তা থেকে বোর্ডে পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ৭ জনের মতের ভিত্তিতে সাজা কমায় আম্পায়ার্স কমিটি। তবে শাস্তি কমানোর এমন সিদ্ধান্তে বৈঠকেই আপত্তি জানান, তিন পরিচালক- নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ইফতেখার আহমেদ মিঠু ও আরেক পরিচালক সালাউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু বোর্ড সভাপতির ইচ্ছা আর মোহামেডানের শীর্ষ কর্তাদের অস্বাভাবিক চাপের মুখে টেকনিক্যাল কমিটির মতামত ছাড়াই স্থগিত করা হয় এক ম্যাচের সাজা।

বোর্ডের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিসিবির চাকরি ছাড়তে পদত্যাগ পত্র জমা দেন আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা দেশের একমাত্র আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত। গুঞ্জন আছে একই কারণে টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে থেকে সরে দাঁড়ান কমিটির আহ্বায়ক আম্পায়ার এনামুল হক মণিও।

তবে এতেও থামেনি ঘরোয়া ক্রিকেটের অস্থিরতা। আম্পায়ার্স কমিটির সভায় চলমান অরাজকতা নিয়ে আলোচনায় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন বিসিবির দুই ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল ও নিয়ামুর রশিদ রাহুল। দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে অসমাপ্তই রয়ে যায় আম্পায়ার্স কমিটির সভা।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন সভাপতির কণ্ঠে ছিল পরিবর্তনের প্রত্যয়। মাঠের ক্রিকেটকে কালিমামুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দিন যত বাড়ছে, কালিমা যেন গ্রাস করছে দেশের ক্রিকেটটাকে।

সেজু