নয়নাভিরাম গল যেন মুশফিকুর রহিমের জন্য আশীর্বাদের মাঠ। এখানকার রানপ্রসবা উইকেট দু’হাত ভরে দিয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। এক যুগ আগে যেখানে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল হাঁকিয়েছিলেন, সেই একই মাঠে এবার হাঁকালেন সেঞ্চুরিও।
মাঝে একটাই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন গলে, সেখানেও খেলেছিলেন ৮৫ আর ৩৪ রানের ইনিংস।
গলে নামার আগে ১০ মাস আর ১৩ ইনিংস রানখরায় ছিলেন মুশি। এ সময়ে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, কোনো ফিফটির দেখাও পাননি তিনি। সাদা বলের দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়া এই ব্যাটারের লাল বলে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
অদৃশ্য এই চাপ নিয়ে মাঠে নেমে দলের বিপর্যয় সামাল দেয়ার গুরুভারটারও চাপ মিস্টার ডিপেন্ডেবলের কাঁধে।
তবে গল হতাশ করেনি মুশিকে। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আরো একবার রানে ফিরেছেন, তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। দলের বিপর্যয়ও কাটিয়েছেন।
দু’জনের ব্যাটে চড়ে দল পেয়েছে টেস্টে তৃতীয় দুইশ’ পেরোনো জুটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেটি প্রথম।
চতুর্থ উইকেটে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও যেটি। এসব পরিসংখ্যান যেকোনো দলকে স্বস্তি দেবে এবং প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেবে, বাংলাদেশ প্রথম দিনেই যেটি পেরেছে।