বিশ্বরেকর্ড নাগালে পেয়েও ইনিংস ছেড়ে দিলেন উইয়ান মুল্ডার। অক্ষত রইল ব্রায়ান লারার রেকর্ড। দ্বিতীয় দিনের স্রেফ এক সেশন খেলা হয়েছে। রেকর্ড গড়েই ইনিংস ঘোষণা করতে পারতেন মুল্ডার।
স্রেফ ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য খেলা চালিয়ে যেতে চাননি।নেতৃত্বের অভিষেকে অনন্য নজির গড়লেন মুল্ডার। পেলেন সতীর্থদের শ্রদ্ধা ও সমীহ সাথে গোটা ক্রিকেট বিশ্বেরও।
এর আগে মার্ক টেইলর ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন। লারার রেকর্ড ৩৭৫ রানের পিছু ছোটেননি তিনি। স্যার ডনের ৩৩৪ রানের পাশে থাকাটাতেই শ্রেয় মনে করেছিলেন তিনি। মাইকেল ক্লার্কও ভারতের বিপক্ষে ৩২৯ রানে ছেড়ে দিয়েছিলেন ইনিংস।
মুল্ডারের ইনিংস ঘোষণা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। হয়তো স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান উঠায় আর আগাননি তিনি। রেকর্ড না করেই আসলে অন্য উচ্চতায় উঠে গেলেন তিনি। এই সফরে দুই টেস্টে খেলেছেন ১৪৭ ও ৩৬৭ রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পেস বোলিংয়েও দারুন কার্যকর তিনি।
২৬৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে মুল্ডার। মাত্র ২৯৭ বলেই ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক এখন মুল্ডার। ।।২০০৮ সালে চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭৮ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে এই তালিকায় সবার উপরে শেবাগ। এই দুজন ছাড়া তিনশর কম বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কেউই।
প্রোটিয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি পেলেন মুল্ডার। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৩১১ রান করা হাশিম আমলাকে এবার ছাড়িয়ে গেলেন মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডও এখন তার।
প্রথম প্রোটিয়া অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন তিনি। ২০০৩ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রায়েম স্মিথের করা ২৭৭ রান ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কদের মধ্যে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস।