টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের নতুন রেকর্ড; লজ্জামুক্তি বাংলাদেশের!

টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের নতুন রেকর্ড
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রেকর্ডবুকটা একরাতেই নতুন করে লিখলো ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশ ব্যাটাররা গড়েছেন নতুন বিশ্বরেকর্ড। তাতে কিছুটা লজ্জামুক্তি ঘটেছে বাংলাদেশের জন্যও। ম্যানচেস্টারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৩০৪ রানের স্কোরের পথে পেছনে পড়েছে বহু কীর্তিই।

এশিয়া কাপের ম্যাচে খেলতে নামার আগের দিন বাংলাদেশকে ভিন্ন রকমের এক স্বস্তিই যেন উপহার দিলো ইংল্যান্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান হজমের বিব্রতকর রেকর্ডটা বাংলাদেশকে সঙ্গ দিচ্ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে। ১১ মাস পর সেই লজ্জা থেকে মুক্তি পেয়েছে থ্রি লায়ন্সদের কল্যাণে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের ২য় টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩০৪ রান।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান হজমের রেকর্ড বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার। পেছনে পড়েছে হায়দ্রাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের করা ২৯৭ রানের ইনিংসটি। এ তালিকার তিনেও আছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। ২০২৪ এর নভেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৮৩ রান তুলেছিল ভারত।

আরও পড়ুন:

বাউন্ডারির মানদণ্ডেও বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি এনে দিয়েছে ইংল্যান্ড। হায়দ্রাবাদে বাংলাদেশ হজম করেছিল মোট ৪৭ বাউন্ডারি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটারদের আছে ৪৮ বাউন্ডারি। ইনিংসে মোট ৩০টি চার এসেছে। সেটা অবশ্য যৌথভাবে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা এবং ২০২৪ সালে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ছিলো সমান ৩০টি চার।

ইংল্যান্ড অবশ্য ম্যাচের প্রথম রেকর্ড গড়েছিলো ১২ দশমিক ১ ওভারে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ২০০ রান করেছে ইনিংসের ৭৪তম ডেলিভারিতে এসে। এর আগে গাম্বিয়ার বিপক্ষে ১২ দশমিক ৫ ওভারে ২০০ রান করেছিলো জিম্বাবুয়ে।

ইংল্যান্ডের রেকর্ডে বড় অবদান রেখেছিলেন ফিল সল্ট। ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রানের পথে নিজ দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে মাত্র চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন চার সেঞ্চুরির দেখা।

এফএস