যশোর সদরের হামিদপুর গ্রাম। সরু গ্রামীণ পথের প্রান্তেই আছে অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফুটবল অ্যাকাডেমি।
শামস উল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমি। বয়স এক যুগ পেরোলেও পাদপ্রদীপের আলোয় আসেনি ফুটবলার গড়ার এই সূতিকাগারটি। হামিদপুর স্কুল মাঠ থেকে ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু হওয়া অ্যাকাডেমিটির এখন আছে নিজস্ব চারটি মাঠ। আছে সুবিশাল ভবন, জিমনেশিয়াম, রিক্রিয়েশন সেন্টার। গ্রামে এমন অ্যাকাডেমির ভাবনা কীভাবে এলো জানালেন পরিচালক।
শামস উল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমির পরিচালক শামস উল বারি শিমুল বলেন, ‘আমরা প্রথমে মাত্র ৪০ জন যশোর জেলার খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে শুরু করেছিলাম। পরের বছর ২০১২ সালে জেলার বাইরের খেলোয়াড়দেরকেও নেয়া শুরু করি।’
অল্প কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করা অ্যাকাডেমির বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ছাড়িয়েছে শতাধিক। সেখানে ফুটবলের পাশাপাশি করতে হয় পড়াশোনাও।
শিমুল বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড় যতই প্রতিভাবান বা দক্ষ হোক না কেন, আমাদের এখানে পড়াশোনাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
এই অ্যাকাডেমিতেই ফুটবলে হাতেখড়ি হওয়া অনেকে সুযোগ পেয়ে মাঠ মাতিয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। স্বপ্নের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুশীলনের সুযোগও পেয়েছেন ৪জন। অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের নিয়েই দেশের সর্বোচ্চ ঘরোয়া আসরে খেলার স্বপ্ন একাডেমি কোচের।
মারুফ বলেন, ‘যখন পূর্ণতা পাবে এই অ্যাকাডেমি, তখন আমাদের এখান থেকে একটা দল বিপিএল খেলবে ইনশাআল্লাহ।’
দেশের প্রান্তিক জনপদে এমন অ্যাকাডেমি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। যেখানে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্যাম্প। অ্যাকাডেমির সুযোগ-সুবিধা দেখে বয়স পর্যায়ে এটিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা আছে বাফুফের।